Requirements not met
Your browser does not meet the minimum requirements of this website. Though you can continue browsing, some features may not be available to you.
Browser unsupported
Please note that our site has been optimized for a modern browser environment. You are using »an unsupported or outdated software«. We recommend that you perform a free upgrade to any of the following alternatives:
Using a browser that does not meet the minimum requirements for this site will likely cause portions of the site not to function properly.
Your browser either has JavaScript turned off or does not support JavaScript.
If you are unsure how to enable JavaScript in your browser, please visit wikiHow's »How to Turn on Javascript in Internet Browsers«.
সম্পাদকীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিভাগ খোলার আগে যৌক্তিকতা নিরূপণ করা প্রয়োজন : ইউজিসি
- Details
ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস): বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিভাগ খোলার ক্ষেত্রে যৌক্তিকতা নিরূপণ করা প্রয়োজন।
আজ ইউজিসি’র ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অংশীজনের সাথে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় নতুন বিভাগ খোলার পর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন না এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোন বিভাগ খোলার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, ল্যাব সুবিধা ও জনবল আছে কিনা এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, নতুন বিভাগ খোলার জন্য প্রয়োজনীয় সমীক্ষা পরিচালনা করতে হবে। দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রয়োজনে বিভাগ খোলার চর্চা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো সম্প্রসারণে ইউজিসি’র প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণেরও পরামর্শ দিয়েছেন।
কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
ড. ফেরদৌস বলেন, কমিশনের অর্জন অর্থপূর্ণ করতে অংশীজনদের কাছ থেকে যৌক্তিক পরামর্শ গ্রহণ করে থাকে। বঙ্গবন্ধুর উচ্চশিক্ষা ভাবনা বাস্তবায়নে অংশীজনদের পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, গুণগত শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করতে ইউজিসি’র প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
সভায় ইউজিসি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা, গণমাধ্যম প্রতিনিধি এবং উচ্চশিক্ষা সেবা গ্রহীতারা অংশগ্রহণ করেন।
নারীদের নেতৃত্বে এনে জাতিসংঘকে অবশ্যই উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
- Details
নিউইয়র্ক, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (বুধবার) বলেছেন, নারীদের জীবনে ইতিবাচক সিদ্বান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলতে তাদের অবশ্যই নেতৃত্বের অবস্থানে থাকতে হবে।
তিনি বলেন. “আমাদের কর্মকান্ডকে অংশগ্রহণ থেকে নেতৃত্বে উন্নীত করতে হবে এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রে জাতিসংঘকে অবশ্যই উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। এটা দুঃখজনক যে জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে এখন পর্যন্ত কোনো নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সময় এসেছে, আমরা শিগগিরই একজনকে পাবো।”
তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রতিনিধি ডাইনিং রুমে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডারদের বার্ষিক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের অবশ্যই নিজেদের অংশীদারিত্বের ভিত্তি বাড়াতে হবে যাতে সকল ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা একটি আদর্শ হয়ে ওঠে। নারীর অংশগ্রহণকে উচ্চতর পর্যায়ে এগিয়ে নিতে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। নেতা হিসাবে, আমাদের তাদের সাথে জড়িত থাকতে হবে এবং তাদের এই বিষয়ে সাহসী উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত করতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি দেশ আলাদা এবং তাদের ভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভিন্নতা রয়েছে। তিনি যোগ করেন, তবে, সবাই যেহেতু ঐতিহাসিক এজেন্ডা ২০৩০ গ্রহণ করেছে সেহেতু তাদের লিঙ্গ সমতা অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা উচিত।
“আমরা কোনো অবস্থাতেই সেই অঙ্গীকার থেকে পিছিয়ে যেতে পারি না। নারী নেত্রী হিসেবে, সকল নারীর পাশে দাঁড়ানো এবং অন্যদের পথ দেখাতে পারে এমন উদাহরণ তৈরি করা আমাদের দায়িত্ব। একটি লিঙ্গ-সমতার বিশ্ব অর্জনের জন্য অবশ্যই আমাদের অবস্থান এবং শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে,’’ তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)-এর থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতেই শেখ হাসিনা সভা আহ্বান করার জন্য পিজিএ এবং ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালককে ধন্যবাদ জানান।
২০২১ সালে এর সূচনা হওয়ার পর থেকে তিনি এই প্ল্যাটফর্মটিকে খুব দরকারী বলে মনে করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করি এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখি যে কিভাবে স্থানীয় সমাধানগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়।
তিনি বলেন, “বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যাকে পেছনে ফেলে শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং স্থায়ীত্ব অর্জনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা কোনো ফল দেবে না। লিঙ্গ সমতা একটি বিকল্প নয় বরং একটি ন্যায্য ও ন্যায় সম্মত বিশ্ব অর্জনের জন্য অপরিহার্য।”
নিজের দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে, যার ফলে জনগণ ছাড়া আর কোনো সম্পদ ছিল না।
“সুতরাং আমরা আমাদের সমগ্র মানব সম্পদ পুঁজিকে কাজে লাগানোর এবং একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠনে আমাদের সমান অংশীদার হিসেবে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি দ্বারা পরিচালিত হয়ে আমরা জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও নীতি গ্রহণ করেছি,” বলেন তিনি ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার মেয়েদের শিক্ষা ও নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও বিনামূল্যে বই দেওয়ার পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা নিশ্চিত করেছেন যে প্রাথমিক স্তরের ৬০ শতাংশ স্কুল শিক্ষক মহিলা এবং দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে ৪০ লাখেরও বেশি মহিলা কর্মরত রয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা নারী উদ্যোক্তাদেরকে উৎসাহিত করতে এবং তাদের অর্থায়নে সহায়তা করার জন্য নির্দিষ্ট নীতিগত পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য রেয়াতি হারে ঋণ নিশ্চিত করেছি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ব্যবসায়িক উদ্যোগে নারীদের প্রচার ও সহায়তার জন্য জয়িতা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে আসীন হওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের জন্য দুয়ার অবারিত করেছে।
তিনি বলেন, “নারীরা এখন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক, রাষ্ট্রদূত, বেসামরিক প্রশাসনের উচ্চ পদে আসীন, সশস্ত্র বাহিনী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ইত্যাদি হচ্ছেন। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, সরকারের শীর্ষ থেকে সর্বনি¤œ স্তর পর্যন্ত সকল স্তরে নারীদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।’’
তিনি বলেন, তাঁরা আইসিটি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নারী ও মেয়েদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তাদের ১২,২৯২টি ইউনিয়ন এবং পৌর ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে যেগুলো একজন মহিলা এবং একজন পুরুষ দ্বারা পরিচালিত হয়, পাশাপাশি সরকার নারীদের ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল প্রযুক্তিগত স্টার্ট আপ এবং ই-কমার্স সেক্টরসহ আইসিটি সেক্টরে লিঙ্গ সমতা অর্জন করা। আমরা জেন্ডার-সংবেদনশীল বাজেট প্রবর্তনকারী প্রথম দেশগুলোর অন্যতম। আমাদের বাজেটের ত্রিশ শতাংশ নারী উন্নয়ন কর্মকা-ের জন্য বরাদ্দ করা হয়।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নারীরাও স্থিতিশীলতা অর্জনে অব্যাহত প্রচেষ্টার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তিনি বলেন, “আমাদের লিঙ্গ-সমতা ভিত্তিক দুর্যোগ মোকাবিলা পরিকল্পনা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করেছে। নারী উন্নয়নে আমাদের বিনিয়োগ আমাদের লভ্যাংশ দিয়েছে। আজ, জিডিপিতে নারীর অবদান ৩৪ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নারীকে তাদের পরিবার এবং সমাজ উভয় ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে সক্ষম করেছে।”
আইন-শৃঙ্খলার টেকসই উন্নয়নে প্রবাসীরা উপেক্ষিত
- Details
দৈনিক ইত্তেফাকে (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ) আইন-শৃঙ্খলার টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক ড. এম এ সোবহান, যিনি বাংলাদেশ পুলিশ এর স্পেশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন (ব্যাটালিয়ন-১) এর একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার- তার সুচিন্তিত একটি লেখা পড়লাম. বিদগ্ধজনচিত এ লেখাটি পড়ে এ বিষয়ে প্রবাস থেকে মনে কিছু প্রশ্ন জেগেছে তা তুলে ধরতেই এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। আইন-শৃঙ্খলার টেকসই উন্নয়ন এর অর্থ আমাদের অবশ্যই বোধগম্য আইন শৃঙ্খলার অবনতি প্রবাস থেকে আমাদের প্রায় সবাই বেশ ব্যথাতুর করে।সত্যিকথা, আমরা টিভিসংবাদগুলোকে কখনো কখনো এড়িয়ে যেতে চাই। কারন দেশে সংঘটিত অপরাধের ধরন এবং এগুলোকে সামাল দেয়ার প্রক্রিয়ায় ও প্রতিক্রিয়ায় পেশাদারীত্বের তীব্র অভাব পরিলক্ষিত হয়।
এডমন্টনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে নববর্ষ উদযাপন
- Details
আলবার্টা, কানাডা (১৬, এপ্রিল ): কানাডায় বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। কানাডায় প্রধানমন্ত্রী জাষ্টিন ট্রুডু পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ উদযাপনকারীদের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বাংলা নববর্ষকে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে মিলিত হবার অপূর্ব সুযোগ আখ্যা দিয়ে একে কানাডীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে উল্লেখ করেন.
তিনি বহুমাত্রিক সমাজ গড়ায় বাঙ্গালী কানাডিয়ানদের উচ্ছসিত প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ হেরিটেজ অ্যান্ড এথনিক সোসাইটি অব আলবার্টার মাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।
এবার এডমন্টনে শুধু বর্ণাঢ্য আয়োজনে নববর্ষ উদযাপন নয় বরং এর সাথে সাথে একে ঐতিহাসিক ও ব্যতিক্রমি করে তোলা হয়েছে। এডমন্টন পাবলিক লাইব্রেরী প্রাঙ্গনে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাঙ্গালির সর্বজনীন এ উৎসব প্রথমবারের মতো রাত ১২:০০ টায় শিখা প্রজ্জলনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়. পহেলাবৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ ১৪২৪কে স্বাগত জানান বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সেন্টার অব আলবার্টার সভাপতি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কানাডা ইউনিট নির্বাহী দেলোয়ার জাহিদ ।
বাংলাদেশের সার্বজনীন এ উৎসবে পহেলা বৈশাখের শেষ প্রহরে তথা নতুন সূর্যোদয়কে উদয়ের আহ্বান জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর এ নতুন উদ্যোগ, বর্ষবরণের উৎসব আমেজে মুখরিত এডমন্টন সহ প্রবাসে বসবাসরত গোটা বাঙ্গালী সম্প্রদায়।
অনুষ্ঠানে কটি স্থানীয় সংগঠনের পুরুষ ও নারী নেতৃবৃন্দ সক্রিয় অংশগ্রহন করেন। বাংলাদেশ হেরিটেজ অ্যান্ড এথনিক সোসাইটি অব আলবার্টা সভাপতি মাসুদ ভুইয়া, সহসভাপতি ফয়সল ভুইয়া, রুহুল আমিন, ম সাঈদ, কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলী, মহিউদ্দিন, ফারজানা কাদের, চাদনী লস্কর এবং এমজেএমএফ বাংলাদেশ স্পোর্ট্স ক্লাব অব আলবার্টা সভাপতি আহসান উল্লাহ, তানভীর হাসান, সোনিয়া ইসলাম, আসমা আক্তার, রায়হানা রাসমিন, এলমা জাহিদ, সোহা ইসলাম, ম সালাউদ্দিন প্রমুখ সহ শিশু কিশোরেরা অংশ নেয়। প্রচন্ড শীত, বৃষ্টি আর তীব্র হাওয়া উপেক্ষা করে বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের নিবেদিত প্রান কিছু পরিবার এডমন্টন ইষ্ট এর পাবলিক লাইব্রেরী প্রাঙ্গনে জড়ো হন চৈত্রকে বিদায় জানাতে।
বাঙালির এই প্রাণের উৎসব ও ব্যতিক্রমি আয়োজনকে ঘিরে এডমন্টন নর্থ এলাকার পুরোটাই ঢেকে দেয়া হয়েছিলো নিরাপত্তা চাদরে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে মঙ্গলশোভা যাত্রা স্থগিত ঘোষনা করেন প্রেসক্লাব সভাপতি।
এশিয়ান নিউজ ও ভিউজ এর প্রকাশক সাইফুর হাসান ব্যবস্থাপনা ও সাজসজ্জার দায়িত্বে ছিলেন।
আলবার্টা পার্লাম্যান্টে বাংলা নববর্ষকে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি
গত ৪ঠা, এপ্রিল, আলবার্টা পার্লাম্যান্টে নিউ ডেমোক্র্যাট ককাস এর সহযোগিতায় বাংলা নববর্ষকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রাদেশিক পরিষদে একটি বিল উত্থাপিত হয়। সণ্মানিত ডেনিস ওলার্ড, এমএলএ তা সংসদে উত্থাপন করেন। বিপুল করতালির মাধ্যমে একে স্বাগত জানান সন্মানিত আইন প্রনেতাগণ।
মাননীয় স্পিকার রবার্ট ই ওয়ানার বাংলা নববর্ষকে নিয়ে হাউজের গভীর আগ্রহের কথা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেন।
অধিবেশনের শুরুতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সেন্টার অব আলবার্টার সভাপতি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কানাডা ইউনিট নির্বাহী দেলোয়ার জাহিদ, বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অব এডমন্টন প্রতিনিধি এডভোকেট আরিফ খান, বাংলাদেশ হেরিটেজ অ্যান্ড এথনিক সোসাইটি অব আলবার্টা সভাপতি মাসুদ ভুইয়া, এমজেএমএফ বাংলাদেশ স্পোর্ট্স ক্লাব অব আলবার্টা, বাংলাদেশ হেরিটেজ মিউজিয়াম সহ-সভাপতি আনামুর রহমান, এশিয়া নিউজ ও ভিউজ প্রকাশক সাইফুর হাসান, জুলফিকার আহমেদ, ক্যালগেরীর এনডিপি নেতা বিনয় দে, বঙ্গ সোসাইটির তাপস হাওলাদার প্রমুখ নেতৃবৃন্দকে হাউজে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে বিশেষভাবে সন্মানিত করা হয়।
আলবার্টা পার্লাম্যান্টের অধিবেশন ও অতিথি গ্যালারী কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সেন্টার অব আলবার্টা সভাপতি দেলোয়ার জাহিদের আহবানে সাড়া দিয়ে নিউ ডেমোক্র্যাট ককাস বাংলা নববর্ষকে স্বীকৃতি দেয়ার এ উদ্যোগ নেয়। অধিবেশনের পূর্বে মাননীয় ইরফান সাবির কমিউনিটি এবং সমাজ সেবা মন্ত্রী উপস্থিত বাঙ্গালী নেতৃবৃন্দের সন্মানে একটি মধ্যান্যভোজ সভার আয়োজন করেন।
উদ্ভোধনী ভাষনে মন্ত্রী সাবির বলেন বহু সংস্কৃতির দেশ কানাডায় বাংলা নববর্ষকে স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। আজ একটি ঐতিহাসিক দিন যা চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে।
মন্ত্রীর উদ্ভোধনী ভাষনের পর ঐতিহাসিক এই গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঘটনা ও বাংলা নববর্ষকে প্রবাসে স্বীকৃতির প্রথম প্রয়াসের উপর সারগর্ভ আলোচনা করেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সেন্টার অব আলবার্টার সভাপতি দেলোয়ার জাহিদ.
দেলোয়ার জাহিদ তার ভাষনে আলবার্টা পার্লাম্যান্টে বাংলা নববর্ষের প্রস্তাবিত বিলটি আজকে উত্থাপনের সুযোগ সৃষ্টির পিছনে অভিবাসী সকল জৈষ্ঠ্য নাগরিকদের অতীত অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি জনাব সিদ্দিক হোসেন, মিসেস শাহানা হোসেন, প্রফেসর ড এম এ মান্নান (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য), ডঃ এনসি দাস, জনাব নেহাল উদ্দিন, ডাঃ আলী সহ সকলের অবদানের কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অব এডমন্টন,বাংলাদেশ হেরিটেজ অ্যান্ড এথনিক সোসাইটি অব আলবার্টা, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা ষ্টুডনেন্টস্ এসোসিয়েশন, এডমন্টন শহরের এমজেএমএফ বাংলাদেশ স্পোর্টস ক্লাব, বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অব কালগেরী ও ফোর্ট ম্যাকমেরীর অতীত এবং বর্তমান কর্তাদের সেবামূলক কাজের জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি আলবার্টা ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও ব্যবসা বানিজ্য বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ এশিয়ায় উন্নয়নের একটি রোল মডেল উল্লেখ করে তাকে অধিকতর সহযোগিতার আহ্বান জানান।
ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে অন্যানের মাঝে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট আরিফ খান, মাসুদ ভুইয়া, আনামুর রহমান, বিনয় দে, তাপস হাওলাদার প্রমুখ। একটি ভিন্নমাত্রার উদ্দিপনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রানঢালা উচ্ছাস নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কিছু বাঙ্গালী, ক্যালগেরী, ফোর্ট ম্যাকমেরী ও অন্যান্য শহর থেকে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ সহ আগ্রহীরা এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
‘বাংলা নববর্ষ’ উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানাতে আলবার্টা প্রিমিয়ার ভোজসভার ফটো সেসনে অংশ নেন।
ছবিতেঃ এডমন্টনে বর্ষবরণে বাঙ্গালী কমিউনিটি এবং আলবার্টা প্রিমিয়ার এর শুভেচ্ছা বিনিময় প্রেসক্লাব সভাপতি ও আগত অতিথিদের সাথে। পার্লাম্যান্টে বাংলা নববর্ষকে স্বীকৃতি দানের পূর্বে...
নববর্ষে বিসিএই এর সভাপতি ম. লস্কর জনাব তাহেরকে আজীবন সন্মাননা পদক তুলে দিচ্ছেন
বর্ষবরণ উৎসব ও বৈশাখী মেলার আয়োজন করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অব এডমন্টন। দুইদিন ব্যাপী নাচ, গান ও কবিতায় নতুন বছরকে স্বাগত জানায় জনপ্রিয় শিল্পীরা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার কারণে শত শত নারী পুরুষ এ অনুষ্ঠানে ভিড় জমান। পয়লা বৈশাখের এ আয়োজন ছিল খুবই সাজানো-গোছালো.
- Additional Resources:
- Additional Resources:
- Agro-Ocean
- Bangabandhu Development and Research Institute (BRDI)
- Bangabandhu's Bangladesh
- Bangladesh Heritage
- Bangladesh North American Journalists Network
- Bangladesh Heritage and Ethnic Society of Alberta (BHESA)
- Coastal 19
- Delwar Jahid's Biography
- Diverse Edmonton
- Dr. Anwar Zahid
- Edmonton Bichitra
- Edmonton Oaths
- Motherlanguage Day in Canada
- Samajkantha News
- Step to Humanity Bangladesh