Requirements not met
Your browser does not meet the minimum requirements of this website. Though you can continue browsing, some features may not be available to you.
Browser unsupported
Please note that our site has been optimized for a modern browser environment. You are using »an unsupported or outdated software«. We recommend that you perform a free upgrade to any of the following alternatives:
Using a browser that does not meet the minimum requirements for this site will likely cause portions of the site not to function properly.
Your browser either has JavaScript turned off or does not support JavaScript.
If you are unsure how to enable JavaScript in your browser, please visit wikiHow's »How to Turn on Javascript in Internet Browsers«.
দেশের খবর
চট্টগ্রামে চিন্ময়কে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১২ আসামি রিমান্ডে
- Details
চট্টগ্রামে চিন্ময়কে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১২ আসামি রিমান্ডে
চট্টগ্রাম, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরকে ঘিরে আদালতপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষে পুলিশের ওপর হামলা এবং কাজে বাধাদানের মামলায় গ্রেফতার হওয়া ১২ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ১২ আসামি হলেন- জয় নাথ, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, সুমিত দাস, আমান দাস, বিশাল দাস, সনু মেথর, সুমন দাস, রাজেশ দাস, দুর্লভ দাস ও অজয় সূত্রধর চৌধুরী।
এর আগে সোমবার পুলিশের ওপর হামলার আরেক মামলায় আট আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় ১২ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নাকচ হলে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম কাজী শরীফুল ইসলাম। ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করেন চিন্ময়ের অনুসারীরা। পরে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা আদালতপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। হামলা চালিয়ে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে।
এসব ঘটনায় একটি হত্যাসহ ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ছয় মামলায় পুলিশ ৩৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে নয় জনকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
লেখক ডঃ আনোয়ার জাহিদ হতে প্রকাশনা গ্রহণ করেছেন পুন্ড্র বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন, অধ্যাপক ড. হোসনে-আরা বেগম
- Details
৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, বিকেলে, ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. চিত্তরঞ্জন মিশ্র এর কার্য্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং পুন্ড্র ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. এস. জে. আনোয়ার জাহিদের লেখা তিনটি উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা গ্রহণ করেন পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন এবং টিএমএসএস-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে-আরা বেগম। গবেষণা পদ্ধতি, ব্যবসা ও বিপণন গবেষণা, এবং পল্লী উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার উপর আলোকপাত করা এই বইগুলি গ্রহণ করে ড. হোসনে-আরা, একজন অশোকা ফেলো এবং PHF সম্মানী, ড. জাহিদের অবদানের প্রশংসা করেন এবং পুন্ড্র ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট একটি নেতৃস্থানীয় গবেষণা কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার ওপর জোর দেন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সমন্বয়ক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম এবং বোর্ড সদস্য আয়েশা বেগম।
ভাইস-চ্যান্সেলর ড. চিত্তরঞ্জন মিশ্র বিশিষ্ট অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে তাদের অব্যাহত সহযোগিতার আহ্বান জানান।
উত্তরবঙ্গের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে, পুন্ড্রা ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সহ বিভিন্ন পটভূমির শিক্ষার্থীদের উচ্চ-মানের, সাশ্রয়ী মূল্যের শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটি একটি সহনশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলে, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং উদ্ভাবনী, ছাত্র-কেন্দ্রিক শিক্ষণ পদ্ধতিতে সজ্জিত। জাতীয় এবং বৈশ্বিক উভয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এমন ফলিত গবেষণায় জড়িত থাকার মাধ্যমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য বিশ্ব-মানের স্নাতক তৈরি করা এবং টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখা।
পুন্ড্রা ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সক্রিয়ভাবে সাতটি চলমান গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করছে, আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি চালনা করার জন্য স্টেকহোল্ডার এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে সহযোগিতার প্রচার করছে।
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির সাবেক পরিচালক ড. আনোয়ার জাহিদ গবেষণা ও উন্নয়নে তার দক্ষতার জন্য ব্যাপকভাবে সম্মানিত। তার বিস্তৃত পোর্টফোলিওতে উল্লেখযোগ্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা একাডেমিয়া এবং গ্রামীণ উন্নয়নে তার প্রভাব আন্ডারলাইন করে।
বাংলাদেশ পুলিশ: মুক্তিযুদ্ধ থেকে বিবর্তনের ৫৩ বছর - একাত্তরের বীরত্বগাথা ও ২০২৪ সালের ট্র্যাজেডিত্তর সংস্কারের বৈশ্বিক পাঠ এবং কঠিন বাস্তবতা
- Details
দেলোয়ার জাহিদ
বাংলাদেশ পুলিশ জাতির ইতিহাসে এক তলা জায়গা ধরে রেখেছে, স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা মানুষের অদম্য চেতনার প্রতীক। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ করে ২৫ মার্চ রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে তাদের বীরত্বপূর্ণ অবস্থান পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সংগঠিত প্রতিরোধ হিসেবে চিহ্নিত। তবুও, আমরা এই গর্বিত উত্তরাধিকারের প্রতি প্রতিফলিত হওয়ার সাথে সাথে, আমাদের অবশ্যই সেই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে যেগুলো পুলিশ আজকে দ্রুত বিকশিত আর্থ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে মোকাবেলা করছে।
আন্দোলনের সাথে প্রাথমিক সংহতি:
বাঙালি পুলিশ সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিল, বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন এবং "জয় বাংলা" স্লোগান দেওয়ার মতো কাজের মাধ্যমে তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেছিল। ১৬ মার্চ, ১৯৭১ ঢাকায় পুলিশ বঙ্গবন্ধুকে পূর্ণ সম্মানের সাথে অভ্যর্থনা জানায়, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের অবাধ্যতা প্রদর্শন করে। পুলিশকে সশস্ত্র প্রতিরোধের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে, পাকিস্তানি সংস্থা বাঙালি অফিসারদের নিরস্ত্র করার চেষ্টা করেছিল, যার পরিণতি নির্মম "অপারেশন সার্চলাইট"।
বীরত্বের শুরু : রাজারবাগে বীরত্বপূর্ণ অবস্থান শুধু সামরিক প্রতিরোধ ছিল না; এটি ছিল পরিচয়ের ঘোষণা এবং নিপীড়নের কাছে জমা দিতে অস্বীকার করা। ৩০৩ রাইফেলের কিছু বেশি সজ্জিত, বাঙালি পুলিশ সদস্যরা ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিরোধ করেছিল, দেশব্যাপী অস্ত্রের ডাকে অনুপ্রাণিত করেছিল। তাদের ত্যাগ এবং স্থিতিস্থাপকতা জাতিকে তার অন্ধকার সময়ে জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে মুখ্য ছিল।
বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর দ্বারা স্মরণীয় এই উত্তরাধিকার, দেশপ্রেমের চেতনা এবং স্বাধীনতার মূল্যকে তুলে ধরে। যাইহোক, এটি একটি প্রখর অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে যে প্রতিষ্ঠানটি কতদূর বিকশিত হয়েছে - এবং এটি এখনও কতদূর যেতে হবে।
পুলিশ একটি সংকটের কেন্দ্রে :২০২৪ সালে, বাংলাদেশ পুলিশ একটি সঙ্কটের কেন্দ্রে নিজেদের খুঁজে পায় যা জনগণের আস্থাকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। সিভিল সার্ভিস নিয়োগে কোটা সংস্কারের পক্ষে ছাত্রদের বিক্ষোভের উপর সহিংস দমন-পীড়ন আইন প্রয়োগকারী এবং নাগরিক স্বাধীনতার মধ্যে উত্তেজনা প্রকাশ করেছে। সরকারের কঠোর হস্তগত পদ্ধতির ফলে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা জনগণের ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
জাতিসংঘের প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, বিক্ষোভের সময় আনুমানিক ৬৫০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং এর পরে জবাবদিহিতার একটি উদ্বেগজনক অভাব প্রকাশ করেছে। একই সাথে, পুলিশ কর্মকর্তারাও শিকার হয়েছেন, সরকারি সূত্রে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হয়েছেন ৪৪ জন। প্রতিবাদকারীর মৃত্যু এবং পুলিশের হতাহতের দ্বৈত বর্ণনা সংকটের জটিলতা এবং পদ্ধতিগত সংস্কার জরুরি প্রয়োজন তুলে ধরে।
পুলিশ বাহিনীর মধ্যে হতাশা: পুলিশ নিজের হতাশা থেকে মুক্ত নয়। অনেক অফিসার সিস্টেমের দ্বারা পরিত্যক্ত বোধ করেন, বিশেষ করে তাদের নিহত সহকর্মীদের জন্য ন্যায়বিচারের অভাব সম্পর্কে। বিক্ষোভকারীদের অনাক্রম্যতা প্রদান বিতর্কিত সরকারী আদেশগুলি বাহিনীর মধ্যে অসন্তোষকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, অস্থিরতার সময় নিহত অফিসারদের জন্য ন্যায়বিচার দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ইন্সপেক্টর মাসুদ পারভেজ ভূঁইয়া অমীমাংসিত হত্যাকাণ্ড এবং নোয়াখালীতে সন্দেহভাজনদের প্রাথমিক ভুল শনাক্তকরণের মতো ঘটনা জনগণের আস্থা বজায় রেখে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জগুলো নির্দেশ করে। এই অস্থির পরিবেশ পুলিশের ভূমিকা এবং জবাবদিহিতা ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়ন দাবি করে।
বাংলাদেশ পুলিশ সংস্কার: ২০২৪ থেকে শিক্ষা
২০২৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশ যে চ্যালেঞ্জগুলো মুখোমুখি হয়েছিল তা অনন্য নয়। বিশ্বজুড়ে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সম্মান করার মধ্যে একই রকম উত্তেজনার মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক উদাহরণ থেকে শেখার সুযোগ রয়েছে, যেমন কমিউনিটি পুলিশিং এবং স্বাধীন তদারকির ওপর কানাডার জোর।
মূল সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা:
আইনি কাঠামোর আধুনিকীকরণ: ১৮৬১ সালের পুলিশ অ্যাক্ট এর মতো পুরানো ঔপনিবেশিক যুগের আইনগুলিকে প্রতিস্থাপন করুন, জনসেবা, জবাবদিহিতা এবং পেশাদারিত্বের উপর জোর দিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ আইনি কাঠামোর সাথে।
কমিউনিটি পুলিশিং শক্তিশালীকরণ: স্থানীয় উদ্বেগ গুলোকে মোকাবেলা করে এবং সহযোগিতামূলক ভাবে অপরাধ প্রতিরোধ করে এমন উদ্যোগের মাধ্যমে পুলিশ এবং নাগরিকদের মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
স্বাধীন তদারকি: অসদাচরণ তদন্ত করতে স্বায়ত্তশাসিত পর্যালোচনা বোর্ড গঠন করুন, স্বচ্ছতা এবং জনগণের আস্থা নিশ্চিত করুন।
নৈতিক মান এবং প্রশিক্ষণ: একটি শক্তিশালী আচরণবিধি প্রয়োগ করুন এবং মানবাধিকার, দ্বন্দ্ব সমাধান এবং বৈচিত্র্যের ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রদান করুন।
বিকেন্দ্রীভূত শাসন: জাতীয় তত্ত্বাবধান বজায় রেখে স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী আইন প্রয়োগের জন্য আঞ্চলিক ইউনিট গুলো ক্ষমতায়ন করা।
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হ্রাস: রাজনৈতিক চাপ থেকে রক্ষা করে, নিরপেক্ষ আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করে পুলিশের কার্যক্রমের স্বায়ত্তশাসন রক্ষা করুন।
গণতান্ত্রিক পুলিশিং এর দিকে একটি পথ
বাংলাদেশের ইতিহাস দাবি করে যে তার পুলিশ বাহিনী তার ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকারের ঊর্ধ্বে উঠে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে মূর্ত করে যার জন্য ১৯৭১ সালে জাতি লড়াই করেছিল। প্রতিষ্ঠানের সংস্কার শুধুমাত্র বাহিনী বা জনসাধারণের মধ্যে অভিযোগের সমাধান করা নয়-এটা পুলিশের ভূমিকা নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা। ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের অভিভাবক হিসেবে।
এই পরিবর্তনগুলো আলিঙ্গন করে, বাংলাদেশ পুলিশ তাদের উত্তরাধিকার কে সম্মান করতে পারে, জনগণের আস্থা পুনঃনির্মাণ করতে পারে এবং জনগণের রক্ষক হিসাবে তাদের স্থান সুরক্ষিত করতে পারে। স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের নীতিতে নির্মিত একটি জাতির জন্য এটি কেবল একটি প্রয়োজনীয়তা নয় বরং একটি নৈতিক অপরিহার্যতা। সরকারী তথ্য অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানকে প্রতিরোধ করার প্রচেষ্টায় অন্তত ৭৫১ জন পুলিশ সদস্য শহীদ হন এবার নিহত হয়েছেন ৪৪ জন। বাংলাদেশের প্রথম সত্যিকারের প্রতিরক্ষা, যা পাকিস্তানে তার নিপীড়কদের কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল তাদের আগত মহান বিজয় দিবসের আগাম রক্তিম শুভেচ্ছা।
লেখক: মুক্তিযোদ্ধা, সভাপতি, বাংলাদেশ নর্থ মার্কিন জূর্নালিস্ট নেটওয়ার্ক
অতি প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেয়া হবে: আইন উপদেষ্টা
- Details
ঢাকা, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : অতি প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
'অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আইন মন্ত্রণালয়ের বিগত ১০০ দিনের কর্মকাণ্ড আজ তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে সর্বত্রই একটি প্রশ্ন শোনা যায়, সেটি হলো তারা কত দিন থাকবে, তাদের মেয়াদ কত দিন হবে, নির্বাচন কবে হবে?’ এ বিষয়ে জবাব দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন- এটি আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়। তবে আপনাকে একটি বিষয় বলি, আমরা মোস্ট এসেনশিয়াল কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেব।
আমরা জাস্ট এই জিনিসটা চাই না যে আগের মতো কোনো ভুয়া নির্বাচন হোক। আর এটা চাই না-নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে কেউ আবার ভুয়া নির্বাচন করার সুযোগ পাক। এটা ছাড়া আর কোনো স্বার্থ নাই। এ বিষয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের পেশায় ফিরে যাওয়ার জন্য আগ্রহী।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হয় ১৫ নভেম্বর। এই সময় সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করতে সংস্কারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ১০০ দিনে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, মামলা প্রত্যাহার:
গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত ছাত্র জনতার গণআন্দোলন দমনে দায়ের করা প্রায় সব ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে উদ্যোগ:
পরবর্তী উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে। ফলে ওই আইনের অধীনে দায়েরকৃত সব স্পিস-অফেন্স মামলা প্রত্যাহার করা হবে। সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে গত ৩ অক্টোবর মতবিনিময় সভার আয়োজন করে আইন মন্ত্রণালয়। অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করে এ আইন প্রত্যাহারে যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে সহায়তা করা হচ্ছে। আইন উপদেষ্টা বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিলক্রমে কম্পিউটার সংক্রান্ত অপরাধগুলো প্রতিরোধের জন্য, নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ সপ্তাহে এটি জারি হবে।
নতুন নিয়োগ/নিয়োগে সহায়তা:
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগে ২৩জন এবং অধস্তন আদালতে ১০৯ জন বিচারক নিয়োগে সাচিবিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে আইন কর্মকর্তা নিয়োগ:
এটর্নি জেনারেল অফিসে এটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ও সহকারী এটর্নি জেনারেল মিলিয়ে মোট ২৪৯ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
অধস্তন আদালতে আইন কর্মকর্তা নিয়োগ:
বিজিবির বিস্ফোরক মামলার জন্য ২০ জন ও ৬১ জেলার অধস্তন আদালতসমূহে ৪ হাজার ৩০০ জন আইন কর্মকর্তা ইতোমধ্যে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট জেলা সমূহে আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ আইনের খসড়া প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম:
বিচারক, রেজিস্ট্রেশন বিভাগের কর্মকর্তা এবং আইন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর সংস্থার পরিবারের সদস্যসহ অর্জিত সম্পদের হিসাব বিবরণী ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে এগুলোর যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
গুম বিরোধী সনদ অনুসমর্থন ও কমিশন গঠন:
গুম বিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ অনুসমর্থনে আইন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে। বিগত সময়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও গুমে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের নিমিত্ত তদন্ত কমিশন গঠনে আইন ও বিচার বিভাগ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে।
সংস্কার কমিশন গঠন ও সচিবিক সহায়তা:
স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে ৩ অক্টোবর বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রথম বৈঠক হয় ৬ অক্টোবর। ১২ নভেম্বর বৈঠক করেন আইন উপদেষ্টার সঙ্গে। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ওনারা যেভাবে এগোচ্ছেন, আমি খুবই আশাবাদী। সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন গঠনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এই সংস্কার কমিশনগুলোকে সব ধরণের সাচিবিক সহায়তা প্রদান করছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বিচার ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশন:
মডেল ই-কোর্ট স্থাপনে এবং মডেল সাব-রেজিস্ট্রি অফিস স্থাপনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই সম্পর্কিত দু’টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
এটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা:
স্থায়ী সরকারি এটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠায় আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সরকারি আইন কর্মকর্তাদের আচরণবিধি যুগোপযোগীকরণে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ সংশোধনের উদ্যোগ:
গত ২৪ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ যুগোপযোগী করতে আইনটির ৮টি ধারায় সংশোধনে খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। বিদ্যমান এ আইনটিকে আরো যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে সুপারিশসহ গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞগণ।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এবং গত জুলাই-আগস্ট মাসে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক মানদন্ড নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত আইন যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ(ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ বিদ্যমানে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার মতামত সুপারিশ নিয়ে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। কাল ২০ নভেম্বর এটি উপদেষ্টা পরিষদে উঠবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন- বৃহস্পতিবার এর মধ্যে সংশোধিত এই আইনটি প্রকাশ করা হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করা:
১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। গত ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটরসহ প্রসিকিউশন গঠন করা হয়। মোট ১১ জন প্রসিকিউটর রয়েছেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়। ১০ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও স্পেশাল প্রসিকিউটরাল এডভাইজার হিসাবে দেশী ও বিদেশী বিশেষজ্ঞগণকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা(রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪ সহ মোট ১০টি অধ্যাদেশ প্রণয়ণে ভেটিং সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৯৫টি প্রজ্ঞাপন ও আদেশ (এসআরও), ৩৩টি বৈদেশিক বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সম্পাদন করেছে।
ভেটিংকৃত প্রজ্ঞাপনের মধ্যে রয়েছে ১১ টি সংস্কার কমিশন।
- Additional Resources:
- Additional Resources:
- Agro-Ocean
- Bangabandhu Development and Research Institute (BRDI)
- Bangabandhu's Bangladesh
- Bangladesh Heritage
- Bangladesh North American Journalists Network
- Bangladesh Heritage and Ethnic Society of Alberta (BHESA)
- Coastal 19
- Delwar Jahid's Biography
- Diverse Edmonton
- Dr. Anwar Zahid
- Edmonton Bichitra
- Edmonton Oaths
- Motherlanguage Day in Canada
- Samajkantha News
- Step to Humanity Bangladesh