Requirements not met
Your browser does not meet the minimum requirements of this website. Though you can continue browsing, some features may not be available to you.
Browser unsupported
Please note that our site has been optimized for a modern browser environment. You are using »an unsupported or outdated software«. We recommend that you perform a free upgrade to any of the following alternatives:
Using a browser that does not meet the minimum requirements for this site will likely cause portions of the site not to function properly.
Your browser either has JavaScript turned off or does not support JavaScript.
If you are unsure how to enable JavaScript in your browser, please visit wikiHow's »How to Turn on Javascript in Internet Browsers«.
দেশের খবর
অতি প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেয়া হবে: আইন উপদেষ্টা
- Details
ঢাকা, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : অতি প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
'অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আইন মন্ত্রণালয়ের বিগত ১০০ দিনের কর্মকাণ্ড আজ তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে সর্বত্রই একটি প্রশ্ন শোনা যায়, সেটি হলো তারা কত দিন থাকবে, তাদের মেয়াদ কত দিন হবে, নির্বাচন কবে হবে?’ এ বিষয়ে জবাব দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন- এটি আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়। তবে আপনাকে একটি বিষয় বলি, আমরা মোস্ট এসেনশিয়াল কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেব।
আমরা জাস্ট এই জিনিসটা চাই না যে আগের মতো কোনো ভুয়া নির্বাচন হোক। আর এটা চাই না-নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে কেউ আবার ভুয়া নির্বাচন করার সুযোগ পাক। এটা ছাড়া আর কোনো স্বার্থ নাই। এ বিষয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের পেশায় ফিরে যাওয়ার জন্য আগ্রহী।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হয় ১৫ নভেম্বর। এই সময় সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করতে সংস্কারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ১০০ দিনে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, মামলা প্রত্যাহার:
গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত ছাত্র জনতার গণআন্দোলন দমনে দায়ের করা প্রায় সব ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে উদ্যোগ:
পরবর্তী উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে। ফলে ওই আইনের অধীনে দায়েরকৃত সব স্পিস-অফেন্স মামলা প্রত্যাহার করা হবে। সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে গত ৩ অক্টোবর মতবিনিময় সভার আয়োজন করে আইন মন্ত্রণালয়। অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করে এ আইন প্রত্যাহারে যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে সহায়তা করা হচ্ছে। আইন উপদেষ্টা বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিলক্রমে কম্পিউটার সংক্রান্ত অপরাধগুলো প্রতিরোধের জন্য, নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ সপ্তাহে এটি জারি হবে।
নতুন নিয়োগ/নিয়োগে সহায়তা:
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগে ২৩জন এবং অধস্তন আদালতে ১০৯ জন বিচারক নিয়োগে সাচিবিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে আইন কর্মকর্তা নিয়োগ:
এটর্নি জেনারেল অফিসে এটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ও সহকারী এটর্নি জেনারেল মিলিয়ে মোট ২৪৯ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
অধস্তন আদালতে আইন কর্মকর্তা নিয়োগ:
বিজিবির বিস্ফোরক মামলার জন্য ২০ জন ও ৬১ জেলার অধস্তন আদালতসমূহে ৪ হাজার ৩০০ জন আইন কর্মকর্তা ইতোমধ্যে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট জেলা সমূহে আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ আইনের খসড়া প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম:
বিচারক, রেজিস্ট্রেশন বিভাগের কর্মকর্তা এবং আইন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর সংস্থার পরিবারের সদস্যসহ অর্জিত সম্পদের হিসাব বিবরণী ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে এগুলোর যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
গুম বিরোধী সনদ অনুসমর্থন ও কমিশন গঠন:
গুম বিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ অনুসমর্থনে আইন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে। বিগত সময়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও গুমে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের নিমিত্ত তদন্ত কমিশন গঠনে আইন ও বিচার বিভাগ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছে।
সংস্কার কমিশন গঠন ও সচিবিক সহায়তা:
স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে ৩ অক্টোবর বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রথম বৈঠক হয় ৬ অক্টোবর। ১২ নভেম্বর বৈঠক করেন আইন উপদেষ্টার সঙ্গে। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ওনারা যেভাবে এগোচ্ছেন, আমি খুবই আশাবাদী। সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন গঠনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এই সংস্কার কমিশনগুলোকে সব ধরণের সাচিবিক সহায়তা প্রদান করছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বিচার ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশন:
মডেল ই-কোর্ট স্থাপনে এবং মডেল সাব-রেজিস্ট্রি অফিস স্থাপনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই সম্পর্কিত দু’টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
এটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা:
স্থায়ী সরকারি এটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠায় আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সরকারি আইন কর্মকর্তাদের আচরণবিধি যুগোপযোগীকরণে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ সংশোধনের উদ্যোগ:
গত ২৪ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ যুগোপযোগী করতে আইনটির ৮টি ধারায় সংশোধনে খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। বিদ্যমান এ আইনটিকে আরো যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে সুপারিশসহ গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞগণ।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এবং গত জুলাই-আগস্ট মাসে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক মানদন্ড নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত আইন যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ(ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ বিদ্যমানে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার মতামত সুপারিশ নিয়ে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। কাল ২০ নভেম্বর এটি উপদেষ্টা পরিষদে উঠবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন- বৃহস্পতিবার এর মধ্যে সংশোধিত এই আইনটি প্রকাশ করা হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করা:
১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। গত ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটরসহ প্রসিকিউশন গঠন করা হয়। মোট ১১ জন প্রসিকিউটর রয়েছেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়। ১০ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও স্পেশাল প্রসিকিউটরাল এডভাইজার হিসাবে দেশী ও বিদেশী বিশেষজ্ঞগণকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা(রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪ সহ মোট ১০টি অধ্যাদেশ প্রণয়ণে ভেটিং সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৯৫টি প্রজ্ঞাপন ও আদেশ (এসআরও), ৩৩টি বৈদেশিক বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সম্পাদন করেছে।
ভেটিংকৃত প্রজ্ঞাপনের মধ্যে রয়েছে ১১ টি সংস্কার কমিশন।
কানাডায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার ও জাতীয় পরিচয়পত্রের দাবি
- Details
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার বেগম নাহিদা সোবহান এবং পিডিআই কানাডার একটি প্রতিনিধি দলের মধ্যে অটোয়ায় হাইকমিশনারের কার্যালয়ে একটি বৈঠক হয়। প্রতিনিধিদলের অন্তর্ভুক্ত:
আজফার সৈয়দ ফেরদৌস
মনির জামান রাজু
মোহাম্মদ মাশুক মিয়া
মাহবুব আলম
নাসির উদ দুজা
রওশন জাহান উর্মি
কাজী জুলিয়া নাসরিন
মূল যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে
পিডিআই কানাডার প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে একনায়কতন্ত্রের পতন সত্ত্বেও যে চ্যালেঞ্জগুলো টিকে আছে সেগুলো তুলে ধরে, পেছনে ফেলে আসা পদ্ধতিগত কাঠামো ভেঙে ফেলার ওপর জোর দেয়। তারা সরকারকে সমালোচনামূলক সমস্যাগুলির সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
আইনশৃঙ্খলার উন্নতি।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও পার্বত্য এলাকায় অশান্তি মোকাবেলা করা।
দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা।
কৃত্রিম বন্যা এবং সীমান্ত হত্যা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা।
শ্রমজীবী মানুষের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
পিডিআই কানাডা একটি উদার, গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠনে তার প্রতিশ্রুতির জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করেছে। যাইহোক, তারা এই প্রতিশ্রুতিগুলিকে কার্যকরী সংস্কারে অনুবাদ করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে। প্রতিনিধি দল গঠনমূলক সমালোচনা বজায় রেখে সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগকে সমর্থন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
স্মারকলিপি
প্রতিনিধি দল হাইকমিশনারকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে ১২ দফা স্মারকলিপি পাঠাতে অনুরোধ করে। দাবির মধ্যে, বাংলাদেশি প্রবাসীরা যেগুলো জোরালোভাবে সমর্থন করেছেন:
বিদেশ থেকে ভোটের অধিকার: প্রবাসীদের জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার।
জাতীয় পরিচয়পত্রের বিধান (NID): কানাডায় বাংলাদেশি নাগরিকদের হাই কমিশন বা কনস্যুলেটের মাধ্যমে NID পেতে সক্ষম করা।
হাইকমিশনার প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন যে তাদের দাবিগুলো দ্রুত বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে।
বিস্তৃত দাবি
সাধারণ দাবি:
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলন থেকে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবার সনাক্তকরণ এবং পুনর্বাসন ত্বরান্বিত করুন। আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুন।
নির্বিচারে অভিযোগ এড়িয়ে লক্ষ্যবস্তু মামলার মাধ্যমে ছাত্র হত্যার বিচার নিশ্চিত করা।
ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে রাষ্ট্রীয় নীতিতে বৈষম্য দূর করুন।
পাচারকৃত তহবিল পুনরুদ্ধার করুন এবং কঠোর দুর্নীতি বিরোধী ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করুন।
দেশপ্রেম এবং আত্মসম্মানের নীতির উপর ভিত্তি করে ভারত, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলির সাথে পররাষ্ট্র নীতির পুনর্নির্মাণ করুন।
প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।
প্রবাসী-নির্দিষ্ট দাবি:
আগামী নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
মিশন বা কনস্যুলেটের মাধ্যমে NID ইস্যু করুন।
প্রবাসী এবং তাদের সন্তানদের জন্য নো ভিসা রিকোয়ারড (NVR) প্রক্রিয়া সহজ ও ত্বরান্বিত করুন।
পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ এবং নতুন ইস্যু করার পদ্ধতিগুলি স্ট্রীমলাইন করুন।
বিদেশে অবস্থানরত মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জাতীয় ব্যবস্থা করা।
কানাডায় বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিক এবং তাদের পরিবারের একটি বিস্তৃত তালিকা তৈরি করুন।
ধর্ম, বর্ণ, গোত্র বা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে দূতাবাস এবং কনস্যুলেট কর্মীদের থেকে ন্যায়সঙ্গত পরিষেবা নিশ্চিত করুন।
উপসংহার
বৈঠকটি পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে চিহ্নিত হয়েছিল। প্রতিনিধি দল বাংলাদেশী প্রবাসীদের অধিকারের পক্ষে ওকালতি করার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে এবং অন্তর্ভুক্তি, ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে সরকারকে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
তোফাজ্জল হত্যা : ঢাবি ছয় শিক্ষার্থীর দায় স্বীকার
- Details
তোফাজ্জল হত্যা : ঢাবি ছয় শিক্ষার্থীর দায় স্বীকার
ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম (এফএইচ) হলে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিশ^বিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থী দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার তাদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা হচ্ছে- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. জালাল মিয়া, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হুসাইন সাজ্জাদ, আহসানউল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম। এদের মধ্যে জালাল মিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপসম্পাদক ছিলেন।
জানা গেছে, তোফাজ্জল নামের ওই যুবক গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে এফএইচ হলের ফটক দিয়ে মাঠের ভেতরে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষার্থী চোর সন্দেহে তাকে আটক করে হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়। পরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর আবার তাকে হলের অতিথি কক্ষে এনে ব্যাপক মারধর করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, এ সময় ওই যুবককে স্ট্যাম্প দিয়ে মারধর করা হয়। তারা জানান, গতকাল দুপুরে হল থেকে কয়েকজন ছাত্রের মোবাইল ও মানি ব্যাগ চুরি হয়েছিল। সেই ঘটনায় তোফাজ্জলকে সন্দেহ করে এভাবে মারধর করা হয়। পরে রাত ১২টার দিকে হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক তোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মব জাস্টিস: বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অন্যায় ও জঙ্গল আইনের চর্চায় নীরব দর্শক
- Details
দেলোয়ার জাহিদ
ভিজিল্যান্টিজম বা জনতার সহিংসতা নামেও পরিচিত এ মব জাস্টিস , তখন ঘটে যখন একদল লোক আইনগত কর্তৃত্ব বা যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। বাংলাদেশে, জঙ্গল আইন চর্চায় একটি উল্লেখযোগ্য উদ্বেগ হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে আগস্ট ২০২৪-এ ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের পর থেকে, যা নিরাপত্তা, শাসন এবং জনসাধারণের জবাবদিহিতার বিষয়ে ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে ।
কাকতালীয়ভাবে ২০১৮ সালের আগস্টে ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ছাত্র এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। নিরাপদ সড়ক ও ট্রাফিক আইনের আরো ভালো প্রয়োগের দাবিতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী তখন রাস্তায় নেমেছে। যদিও বিক্ষোভগুলি শান্তিপূর্ণ ছিল, তারা বাংলাদেশে আইনের শাসন, এবং ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অসন্তোষকে তুলে ধরেছে। বিক্ষোভগুলি দুর্নীতির বিষয়ে গভীর হতাশা এবং ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে জবাবদিহিতার অনুভূত অভাবকেও প্রকাশ করেছে।
বিক্ষোভের পর, সারাদেশে জনতার বিচারের রিপোর্টের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্ভবত আইনী ব্যবস্থায় বিশ্বাসের অভাব বা সরকারী চ্যানেলের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রদান করা হবে না এমন বিশ্বাসের কারণে লোকেরা প্রায়শই বিষয় গুলো তাদের নিজের হাতে নিয়েছে বলে মনে হয়েছিল।
কথিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মব জাস্টিস এর কার্যকারিতা: অনুভূত কার্যকারিতা: কেউ কেউ যুক্তি দেন যে জনতার ন্যায়বিচার অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করতে পারে, বিশেষ করে যেখানে আইন প্রয়োগকারী দুর্বল বা দুর্নীতিগ্রস্ত। নির্দিষ্ট কিছু সম্প্রদায়, যেখানে পুলিশ বা বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থার অভাব রয়েছে, সেখানে লোকেরা মনে করতে পারে যে তাদের নিজের হাতে বিচার নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। "ন্যায়বিচার" এর এই তাত্ক্ষণিক রূপটিকে কেউ কেউ আইনি ব্যবস্থার চেয়ে বেশি কার্যকর হিসেবে দেখেন, যা প্রায়শই ধীর এবং অদক্ষ হিসেবে দেখা হয়। এর নেতিবাচক পরিণতি: এর অনুভূত কার্যকারিতা সত্ত্বেও, জনতার বিচারের অনেক নেতিবাচক পরিণতি রয়েছে। এটি প্রায় অন্যায় শাস্তির দিকে এবং প্রতিশোধ প্রতিহিংসার দিকে পরিচালিত করে, যার মধ্যে নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুও রয়েছে, কারণ সঠিক তদন্ত বা প্রমাণ ছাড়াই মুহূর্তের উত্তাপে এ সকল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাবের অর্থ হল অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থন করার কোন সুযোগ নেই, যার ফলে ন্যায়বিচারের গর্ভপাত ঘটে।
অধিকন্তু, মব জাস্টিস সহিংসতার একটি চক্রকে স্থায়ী করতে পারে এবং ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ ও তৈরি করতে পারে। এটি আইনের শাসনকে ক্ষুন্ন করে এবং ন্যায়বিচার বজায় রাখতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করে চলেছে । অনেক ক্ষেত্রে, মব জাস্টিস বাংলাদেশে সংঘাত ও সংঘর্ষ ক্রমে বাড়িয়ে তুলেছে যার ফলে চরম হতাশা, উদ্বেগ ও সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।
মব জাস্টিসের দীর্ঘ তালিকা থেকে একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে যেমন-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদের মৃত্যুর দুই দিন পরও তাকে মারধরের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। ৩১ বছর বয়সী মাসুদ ৭ সেপ্টেম্বর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হামলার শিকার হন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হামলার পরে মাসুদের কথা বলার একটি ভাইরাল ভিডিও থাকা সত্ত্বেও, কোনও প্রত্যক্ষদর্শী এগিয়ে আসেনি এবং পুলিশ তার পরিবারের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পায়নি। প্রতিশোধের আশঙ্কায় মাসুদের পরিবার আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। মাসুদ, যিনি তার মৃত্যুর কয়েকদিন আগে একটি কন্যা সন্তানের পিতা হয়েছিলেন, এর আগে ২০১৪ সালে আক্রমণ করা হয়েছিল, তখন একটি পা হারিয়েছেন এবং গুরুতর আহত হয়েছিল। তার পরিবার হতবাক এবং ভয় পায় যে তারা ন্যায়বিচার নাও হতে পারে।(সূত্র : প্রথম আলো, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪)
বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারের অগ্রগতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধিকে জানালেন সংস্কারের পদ্ধতি, প্রক্রিয়া এবং নেতৃত্বের রূপরেখার জন্য শীঘ্রই একটি প্রাথমিক কমিটি প্রতিষ্ঠিত হবে। ইউএনডিপি প্রতিনিধি স্টিফেন লিলাল জনগণের আস্থা তৈরি করতে এবং পুলিশের সমালোচনা দূর করতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং প্রক্রিয়াটির জন্য প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তার ও প্রস্তাব দেন।(সূত্র-দৈনিক আমাদের সময় ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪)
অন্তর্বর্তী কালীন সরকার সংখ্যালঘু ও পতিত সরকারি দল ও তার নেতা কর্মীদের রক্ষা পারেনি বা চেষ্টা ও করেনি এমনকি থানা লুট, পুলিশ হত্যা, সরকারী সম্পদ লুটতরাজ এর ঘটনা ও ঘটেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরের সামনে এবং একটি বাহিনীর পোশাকে জাতীয় ঐতিহ্য গুলোকে ভাঙচুর করার ভিডিও ফুটেজ ও দেখা গেছে।
যদিও মব জাস্টিসকে কেউ কেউ কথিত অপরাধের দ্রুত সমাধান হিসাবে দেখতে পারেন, কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এটি শেষ পর্যন্ত অকার্যকর এবং বিপজ্জনক। এটি আইনের শাসনকে সম্পর্ণভাবে ক্ষুন্ন করে, সহিংসতাকে স্থায়ী করে এবং প্রায়শই নিরপরাধ ব্যক্তিদের শাস্তির দিকে নিয়ে যায়। অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে লড়াই করার জন্য, বাংলাদেশকে তার আইনি ও বিচারিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে, আইন প্রয়োগের উন্নতি করতে হবে এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের অবিশ্বাসের মূল কারণগুলিকে মোকাবেলা করতে হবে। শুধুমাত্র তা করার মাধ্যমেই দেশ একটি আরও ন্যায়পরায়ণ ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠন করতে পারে যেখানে সকল নাগরিক আইনের শাসনে নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসী বোধ করবে ।
লেখক : বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ে গবেষক এবং বিশ্লেষক
- Additional Resources:
- Additional Resources:
- Agro-Ocean
- Bangabandhu Development and Research Institute (BRDI)
- Bangabandhu's Bangladesh
- Bangladesh Heritage
- Bangladesh North American Journalists Network
- Bangladesh Heritage and Ethnic Society of Alberta (BHESA)
- Coastal 19
- Delwar Jahid's Biography
- Diverse Edmonton
- Dr. Anwar Zahid
- Edmonton Bichitra
- Edmonton Oaths
- Motherlanguage Day in Canada
- Samajkantha News
- Step to Humanity Bangladesh