Requirements not met

Your browser does not meet the minimum requirements of this website. Though you can continue browsing, some features may not be available to you.


Browser unsupported

Please note that our site has been optimized for a modern browser environment. You are using »an unsupported or outdated software«. We recommend that you perform a free upgrade to any of the following alternatives:

Using a browser that does not meet the minimum requirements for this site will likely cause portions of the site not to function properly.


Your browser either has JavaScript turned off or does not support JavaScript.

If you are unsure how to enable JavaScript in your browser, please visit wikiHow's »How to Turn on Javascript in Internet Browsers«.


Your browser either has Cookies turned off or does not support cookies.

If you are unsure how to enable Cookies in your browser, please visit wikiHow's »How to Enable Cookies in Your Internet Web Browser«.

 

Select Language:

শীর্ষ সংবাদ

বিনোদন

 

রাঙ্গামাটি, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিতকরণ সংক্রান্ত বিধি নিষেধ বৃদ্ধি না করায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে স্বাভাবিক নিয়মে সাজেকে পর্যটকরা যাতায়াত করতে পারবেন।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান আজ বাসসকে জানান, ‘আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সাজেক ও  আশপাশের এলাকায় যৌথবাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে নিরুৎসাহিতকরণ সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ আর বাড়ানো হচ্ছে না। তাই বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটকরা সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন।’ 

সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা বাসসকে জানান, জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামীকাল থেকে পর্যটকরা আগের মতোই সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন। সাজেক এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় এখানে নিরাপত্তাজনিত কোন সমস্যা নেই। তিনি পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান

॥ মনোজ কুমার সাহা ॥

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ২১ সেপ্টেম্বর,২০২৪ (বাসস): গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কুমার নদে শুক্রবার বিকেলে  আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে

বিকেলে মহেশপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি ও চকবোনদোলা গ্রামবাসী এ নৌকা বাইচের আয়োজন করে । দীর্ঘ ৭ বছর ধরে এখানে এ নৌকা বাইচ হয়ে আসছে । কুমার নদের দু’পাড়ে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার নারী-পরুষ, শিশু-কিশোর এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন। বাইচ উপলক্ষে বসে গ্রামীণ মেলা ।

হোগলাকান্দি ও চকবোনদোলা গ্রামবাসী প্রতি বছর কুমার নদে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে।চিত্ত বিনোদনের জন্য এ দিনটির অপেক্ষা করে থাকেন এ এলাকার মানুষসহ আশপাশের অনেক গ্রামের মানুষ।উপভোগ করেন কাসির তালে তালে মাল্লাদের গাওয়া জারি সারি আর বৈঠার সলাৎ সলাৎ শব্দ।

এ নৌকা বাইচে গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের ৬ টি বাছারী নৌকা অংশ নেয়।বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ নৌকা বাইচ। কুমার নদে ছোট ছোট অসংখ্য নৌকা ও ট্রলারে বসে নানান বয়সী নারী পুরুষ উপভোগ করেন বাইচ।

এছাড়া কুমার নদের দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষও প্রত্যক্ষ করেন এ দৃষ্টিনন্দন বাইচ। এ উপলক্ষে কুমার নদ পাড়ের হোগলাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে গ্রামীণ মেলা বসে। এ মেলায় মিষ্টি, চানাচুর, চটপটি. ফুসকাসহ বিভিন্ন ধরণের খাবার ও শিশুদের খেলনাসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পসরা নিয়ে বসেন দোকানীরা ।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ নৌকা বাইচ বাঁচিয়ে রাখতে সবাই এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা দর্শনার্থীদের। নৌকা বাইচ দেখতে আসা  গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি গ্রামের সাদ্দাম হোসেন, কাশিয়ানী উপজেলার বলুগাঁ গ্রামের সিয়াম, রশিদ রহমান, জয়নগর গ্রামের সুজন কুমার ঢালী বলেন, নৌকা বাইচ দেখতে আনন্দ লাগে। তাই পরিবার পরিজন ও বন্ধু-স্বজনদের সাথে নৌকা বাইচ দেখেছি। আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছি। এ এক অন্যরকম প্রশান্তি।

আয়োজক কমিটির সদস্য গণমাধ্যম কর্মী গিয়াস উদ্দিন বলেন, নতুন প্রজম্ম নৌকাবইচ শুধু বইতে পড়ে । তারা বাস্তবে নৌকা বাইচ দেখতে পারে না। তাই তাদের জন্য এ আয়োজন। এ নৌকা বাইচের আয়োজক কমিটির সদস্য এস.এম আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা ৭ বছর ধরে এ আযোজন করে চলেছি। আগামীতেও এ ঐতিহ্য ধরতে রাখতে নৌকা বাইচের আয়োজন অব্যাহত থাকেব।  

কাশিয়ানী উপজেলার দোলাগ্রামের রেজাউলের নৌকা প্রথম, আড়পাড়া গ্রামের ওসমান মিনার নৌকা দ্বিতীয় ও গেড়াখোলা গ্রামের বরকতের নৌকা তৃতীয় স্থান অধিকার করে । পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রাসেদুজ্জামান ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রাসেদুজ্জামান আযোজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এ বর্ণিল আযোজন সবাইকে নির্মল আনন্দ দিয়েছে। হাজার বছরের বাঙ্গালীর এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে। হৃদয়ে লালন করতে হবে। তবেই আমাদের সাংস্কৃতি আরো সমৃদ্ধ হবে । 

 

ঢাকা, ৯ মার্চ, ২০২৪ (বাসস) : কথাসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ শনিবার সকালে পুরানা পল্টনের রবিন টাওয়ারে গল্পপাঠ ও মনোজ্ঞ আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে স্বরচিত ছোটগল্প পাঠ করেন খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক ইউসুফ শরীফ, মুজতাহিদ ফারুকী ও রুহুল গনি জ্যোতি ।
পরবর্তীতে পঠিত গল্প নিয়ে আলোচনা করেন-ইউসুফ শরীফ, মুজতাহিদ ফারুকী, মনির মহিউদ্দিন, ড. মোহাম্মদ তাজুদ্দিন আহম্মেদ, সাঈদ আহমেদ খান, ফাইজুল ইসলাম, মো.আবু ইউসুফ, রাজিবুল আনাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউসুফ শরীফ।

 

 

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস): দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের বিভিন্ন উদ্যোগ দেখে দারুণ আশাবাদী 'জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩' এর বিচারক প্যানেল। তরুণদের নানা মুখী ও উদ্ভাবনী সব আইডিয়া দেখে শুধু অবাকই নন, বরং দেশকে নিয়ে গর্ব বোধ করছেন তারা।

মুক্তিযোদ্ধা এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মখদুম নার্গিস বলেন, আমি কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রকল্প পরিচালক ছিলাম। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জুরি বোর্ডে যুক্ত হওয়ার পর তরুণদের কাজ দেখে আমি দারুণ আশাবাদী। আশা করি এভাবেই দেশ গঠনে এগিয়ে যাবে তরুণ সমাজ।

তার মতই তরুণদের নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনি বলেন, জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড জুড়ি বোর্ডে আমি অংশগ্রহণ করেছি। আমার কাছে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে যে, এখানে প্রত্যেকেই অনেক বেশি ক্যাপাবল। তারা যেভাবে রুরাল এরিয়াতে কাজ করে যাচ্ছে, যেটা খুবই সিগনিফেকেন্ট। এটার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি অনেক বেশি আনন্দিত। যারা উইনার হবেন তাদের প্রতি আমার অভিনন্দন।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি, অ্যাক্টিভিস্ট এবং উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্ম আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। তাদেরকে গ্রুম করা, তাদেরকে উৎসাহিত করা বড় দায়িত্ব। সেই জায়গা থেকে অবশ্যই এই ইয়াং বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বড় ভূমিকা রাখছে, ভবিষ্যতেও রাখবে। আমরা যে সোনার বাংলা দেখতে চাই, দেখি সেটির অনেক কিছুই এখনও অর্জন হতে বাকি। সেটা তৈরি করতে গেলে আরও সুদৃঢ় করতে গেলে, অবশ্যই আমাদের তরুণ ও তরুণতম প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। খুবই আশার কথা এ ধরনের অ্যাওয়ার্ড রয়েছে এবং এটার বিষয়ে তরুণদের আগ্রহ রয়েছে। প্রথমবারের মতো জুরি বোর্ডে থাকতে পেরে খুবই অনুপ্রাণিত বোধ করছি। উৎসাহিত বোধ করছি। ধন্যবাদ এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখার জন্য।

উদ্যোক্তা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মালিহা মান্নান আহমেদ বলেন, জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ এর জুরি বোর্ডের আমি একজন মেম্বার হিসেবে দেখলাম যে, আমাদের দেশের তরুণরা দেশের আনাচে-কানাচে নিজেদের উচ্ছ্বাসে দেশের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। আমি আশা করছি, তরুণরা আমাদের হেলথ সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আজকে আমাদের নতুন প্রজন্ম, বিভিন্ন সেক্টরে স্কিল হোক, শিশু শিক্ষা হোক, নারী উন্নয়ন হোক সবক্ষেত্রে জনসচেতনতা নিয়ে কাজ করছে। তরুণরা হলিস্টিক চিন্তা করছে, তরুণরা কাজ করছে। দেশের আনাচে-কানাচে সব জায়গায় অনেক কাজ হচ্ছে। তাদের উদ্দীপনা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক জানান, এবারও জয় বাংলা ইয়ুর্থ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের নিয়ে দারুণ আশাবাদী তিনি। দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের কাজগুলোর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ইয়াং বাংলা দেশের জন্য কাজ করে যাওয়া তরুণদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। যার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একত্রে কাজ করবে সকল তরুণেরা।

সাংবাদিক ও আর্টিস্ট এলিটা করিম ইয়াং বাংলার সঙ্গে কাজ করে দারুণ অনুপ্রাণিত। তিনি বলেন, তরুণরা দেশকে নিয়ে যে এতটা ভাবছে, এতকিছু করছে আমার জানা ছিলো না। আমাকে এমন একটা প্লাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ইয়াং বাংলা ও সিআরআইকে ধন্যবাদ। 

আগামী ১৮ নভেম্বর জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ পাবেন বিজয়ীরা। দেশের জন্য কাজ করে যাওয়া তরুণদের স্বীকৃতি প্রদানে এই পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

এ বছর ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের সংগঠনগুলোকে ৬টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। ক্যাটাগরিগুলো হলো দক্ষতা ও কর্মসংস্থান, শিল্প ও সংস্কৃতি, সম্প্রদায়ের সুস্থতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, জলবায়ু এবং পরিবেশ উদ্ভাবন এবং যোগাযোগ। এই ক্যাটেগরির আওতাভুক্ত সংগঠনগুলো নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন, পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও বিনোদন, জ্ঞান ও সক্ষমতা বিকাশ, অতিদরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জরুরি সেবা প্রদান করার ক্ষেত্রে আবদান রাখছে।

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার পাওয়া সংগঠনগুলো ছাড়াও ৩০০টির বেশি সংগঠন নিয়ে ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এই সংগঠনগুলোসহ ইয়াং বাংলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক ও ৩ লাখের বেশি সদস্য। ২০২২ সালের মে মাসে ইয়াং বাংলার সদস্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।