Requirements not met

Your browser does not meet the minimum requirements of this website. Though you can continue browsing, some features may not be available to you.


Browser unsupported

Please note that our site has been optimized for a modern browser environment. You are using »an unsupported or outdated software«. We recommend that you perform a free upgrade to any of the following alternatives:

Using a browser that does not meet the minimum requirements for this site will likely cause portions of the site not to function properly.


Your browser either has JavaScript turned off or does not support JavaScript.

If you are unsure how to enable JavaScript in your browser, please visit wikiHow's »How to Turn on Javascript in Internet Browsers«.


Your browser either has Cookies turned off or does not support cookies.

If you are unsure how to enable Cookies in your browser, please visit wikiHow's »How to Enable Cookies in Your Internet Web Browser«.

 

Select Language / ভাষা নির্বাচন:

শীর্ষ সংবাদ

এই বিভাগে

বিজ্ঞাপন

  • Attestation Service from EdmontonOaths Alberta Commissioner of Oaths Services
  •  Bangladesh Heritage and Ethnic Society of Alberta · Promoter of Bangladeshi Culture and Heritage in and around Edmonton
  • Document Preparation Service from EdmontonOaths Alberta Commissioner of Oaths Services
  • R.S. Jeweler's in Bangladesh
  • Legal Witnessing Service from EdmontonOaths Alberta Commissioner of Oaths Services
  • Celebration of Mother Language, Culture and Heritage at MotherLanguageDay.ca
  • Samajkantha Online Inc. · The Voice of Society · Bengali online news magazine

Bengali Fonts

You need to install at least one Bengali font to read or write Bengali.

We offer a .ZIP-File true type font for download. Read the following installation instructions to see how to install the font.

খেলাধুলা

Newsstream Contains
ESPNcricinfo News
FIFA.com News

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ

ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ, লিখলো রূপকথার গল্প। মুশফিক-মিরাজদের হাত ধরে বাংলার ক্রিকেটে উঠল নতুন সূর্য। আগে যা কখনো হয়নি তাই করে দেখাল টাইগাররা, প্রথমবারের মতো টেস্টে পাকিস্তানকে সিরিজ হারালো তারা। দিলো হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। শুধু প্রয়োজন ছিল কোনো অঘটন ঘটতে না দেয়ার। সেই কাজটা খুব ভালো করেই করলেন মুমিনুল-মুশফিকরা। ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ১৪২ রানের ব্যবধান দেখেশুনেই পাড়ি দিলো বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডির দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে পেল ৬ উইকেটের জয়। জয় থেকে ১৪২ রান পিছিয়ে থেকে মঙ্গলবার শেষ দিনে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তবে শুরুটা ভালো হয়নি। আগের দিনের আগ্রাসন ধরে রাখতে পারেননি জাকির হাসান। আগের দিনের ৩১-এর সাথে আজ আর ৯ রান যোগ করে ফেরেন তিনি।

৫৮ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। সাদমান ইসলাম খেলছিলেন দেখেশুনেই। তবে থিতু হয়েও ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ২৪ রান করে ধরেন সাজঘরের পথ। ৭০ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। মুমিনুল হককে সাথে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে লড়াই করেন দু’জনে। খুব হিসাব করে খেলতে থাকেন দুই ব্যাটার। তাড়াহুড়ো করছেন না খুব একটা। তবে দলের ওপর চাপ আসতে দেননি। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগেই দুজন মিলে গড়লেন পঞ্চাশছোঁয়া জুটি। বিরতির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। সালমান আগার সাদামাটা এক বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে ৮২ বলে করেন ৩৮ রান। ভাঙে ৫৭ রানের জুটি। তবে মুমিনুল আর মুশফিক মিলে এগিয়ে নিতে থাকেন রান। তবে থিতু হওয়ার পর অযথা শট খেলতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন মুমিনুল। শেষ হয় তার ৭১ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। তখন জয় থেকে মাত্র ৩২ রান দূরে বাংলাদেশ। এই দূরত্ব ঘুচান সাকিব-মুশফিক। মুশফিক ৫১ বলে ২২ ও সাকিব অপরাজিত থাকেন ৪৩ বলে ২১ রানে। উল্লেখ্য, রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে শুক্রবার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রান করে স্বাগতিকরা। সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন সাইম আইয়ুব। ৫ উইকেট নেন মেহেদী মিরাজ, ৩ উইকেট যায় তাসকিনের ঝুলিতে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৬ রানে ৬ উইকেট হারালেও লিটন দাসের ১৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে বিপদ কাটায় বাংলাদেশ। ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন মেহেদী মিরাজ। ২৬২ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ১২ রানের লিড পায় পাকিস্তান। লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। হাসান মাহমুদ আর নাহিদ রানার বোলিং তোপে আটকে যায় ১৭২ রানে। ফলে লিডসহ বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৫ রান। এরপর ব্যাট করতে নেমে ৭ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৪৩ রান তুলে বাংলাদেশ। তবে এরপরই আলোস্বল্পতার কারণে বন্ধ হয় খেলা। নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন ঘণ্টা আগেই শেষ হয় চতুর্থ দিন। ফলে খেলা গড়ায় রোমাঞ্চকর পঞ্চম দিনে।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ২৭৪

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬২

পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ১৭২

বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ১৮৫) ৫৬ ওভারে ১৮৫/৪ (জাকির ৪০, সাদমান ২৪, শান্ত ৩৮, মুমিনুল ৩৪, মুশফিক ২২*, সাকিব ২১*; হামজা ১৪-৪-৪৬-১, শাহজাদ ৭-০-৪০-১, আবরার ১৪-৩-৪০-১, আলি ১৭-৩-৩৭-০, সালমান ৪-১-১৭-১)

 

ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: দুই ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ ২-০তে জয়ী

ম্যাচ সেরা: লিটন দাস

সিরিজ সেরা: মেহেদি হাসান মিরাজ

ঢাকা, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : শোক ও ভালবাসায় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টুকে শেষ বিদায় জানিয়েছে ক্রীড়াঙ্গনের সর্বস্তরের মানুষ।

 

কিংবদন্তী এই ফুটবলার সোমবার দুপুর রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

 

প্রিয় ক্লাব মোহামেডান স্পোর্র্টিং ক্লাব প্রাঙ্গনে সকালে পিন্টুর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

 

জানাজার আগে ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে বীর এই মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

 

পিন্টুকে শেষ বিদায় জানাতে মোহামেডান ক্লাবে এসেছিলেন পিন্টুর সতীর্থসহ ক্রীড়াঙ্গন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।

 

ক্লাব প্রাঙ্গণের মাঠে ছোট্ট মঞ্চে রাখা হয় পিন্টুর মরদেহ। সেখানে ক্লাব, বিভিন্ন ফেডারেশন, অলিম্পিক এসোসিয়েশন, সাবেক খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

 

মোহামেডানে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও জানাজার পর জাকারিয়া পিন্টুর মরদেহ নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে। সেখানে তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা। বাফুফে ভবনে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

 

মোহামেডান ও বাফুফেতে জানাজা শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবে পিন্টুর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

 

রোববার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পিন্টু। আরও কিছু গুরুতর শারীরিক সমস্যা ধরা পড়ায় তাঁকে রাখা হয়েছিল হাসপাতালের সিসিইউতে। আজ সোমবার দুপুর পৌনে ১২ টায় সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

 

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের শীর্ষ ফুটবলাররা গঠন করেছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। দেশের মানুষের মুক্তির পক্ষে বিশ্বজনমত তৈরি করেছিল এই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। জাকারিয়া পিন্টু ছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের গর্বিত অধিনায়ক। জাকারিয়া পিন্টু একজন অসাধারণ ডিফেন্ডার ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে অমর হয়ে থাকবেন বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসেও।

 

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল জাকারিয়া পিন্টুর নেতৃত্বে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ১৬টি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল। এর ১২টিতেই জিতেছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। ওই ম্যাচের টিকিট বিক্রির অর্থ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল তুলে দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের তহবিলে।

 

১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে নেতৃত্ব দেন জাকারিয়া পিন্টু। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলেরও প্রথম অধিনায়ক। মোহামেডানের সাবেক এই তারকা সংগঠন হিসেবেও মোহামেডানের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন।

 

১৯৪৩ সালের ১ জানুয়ারি নওগাঁয় জন্ম নেওয়া এই কিংবদন্তির ফুটবলের শুরু পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে। ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত টানা খেলেছেন মোহামেডানে। সেই ক্লাবের কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে এই ক্লাবেরই পরিচালক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

 

১৯৯৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার ও ১৯৭৮ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন পিন্টু।

নড়াইল, ৮ মার্চ, ২০২৪ (বাসস): জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি বলেন, ‘সুুস্বাস্থ্য ও সুন্দর মনের অধিকারী হতে হলে প্রত্যেক ছেলে-মেয়েকে খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে হবে। প্রতিটি মানুষের জীবনে খেলাধুলা অত্যনাÍ  গুরুত্বপূর্ণ। নিজে একজন খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বাস করি  খেলোয়াড়রা প্রতিদিন  হারে, কিন্তু ঠিকই মাঠে যায় জিততে।’
নড়াইলে  চলমান ৩ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু ৪৩তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ শুক্রবার  এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন আবার জেতার জন্য নতুন করে খেলার মাঠে নামে। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীসহ খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে মাশরাফি বলেন, আপনারা যা কিছু করবেন দেশের জন্য করবেন। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম বয়ে আনতে তিনি ক্রীড়াবিদদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।’
নড়াইল বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব ও সাইক্লিং ফেডারেশনের সভাপতি কবির বিন আনোয়ার।
বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় ও নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় এ  সাইক্লিং প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহা: মেহেদী হাসান, সাইক্লিং ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কাজী ইলিয়াস আহমেদ, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ তাহের উল আলম, নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু প্রমূখ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি),বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি,ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থা, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা, স্বাগতিক নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থার মোট ২৮টি দল  প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করছে।

নয়া দিল্লি, ১৫ এপ্রিল ২০১৭ (বাসস) : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলমান আসরের ধারাভাষ্যকার হিসেবে বর্তমানে ভারতে আছেন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ধারাভাষ্য দেয়ার মাঝেই বর্তমান ক্রিকেটের পরিস্থিতির সাথে টুয়েন্টি টুয়েন্টি ক্রিকেট পার্থক্য, কিছুদিন আগে শেষ হওয়া ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পাশাপাশি নিজের বর্তমান অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বললেন ক্লার্ক। তার সেই সাক্ষাৎকারের অংশ তুলে ধরা হলো।

প্রশ্ন : আইপিএলের কমেন্ট্রি বক্সের অভিজ্ঞতা ?

মাইকেল ক্লার্ক : দুর্দান্ত, অসাধারন। এবি ডিভিলিয়ার্স-বিরাট কোহালি-ক্রিস গেইলদের মতো ব্যাটসম্যানকে লাইভ দেখতে পারাটা একটা বিরাট প্রাপ্তি। আমি তো বিস্মিত হয়ে যাচ্ছি এখনকার ক্রিকেটারদের কান্ডকারখানা দেখে! কারও স্ট্রাইক রেট ১৬০! কারও ১৮০! কারও আবার ২২০! আমি দেখছি আর ভাবছি, হচ্ছেটা কী এসব। আমরা কি দু’শো বছর আগে ক্রিকেট খেলতাম নাকি? আমাদের সময়ে তো ৯০ বা ১০০ স্ট্রাইক রেট থাকলেই বলা হতো, এ বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। তখন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বা ম্যাথু হেইডেনকে দেখে আমরা বলাবলি করতাম, কী পেটায় রে বাবা! এখনকার ব্যাটসম্যানরা যেটা করছে, সেটা ¯্রফে অবিশ্বাস্য। খেলার খুবই উন্নতি হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, দর্শকদের বিনোদন বেড়ে গিয়েছে। এই কারণে দর্শক বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে আইপিএলের অবদান স্বীকার করতেই হবে। 

প্রশ্ন : আইপিএল খেলেছেন মাত্র একটা মৌসুম। তাও অল্প কিছু ম্যাচ। অথচ, ধারাভাষ্যকার হিসেবে সব ম্যাচে হাজির। কী মনে হয়, খেলাটাকেই বদলে দিয়েছে আইপিএল?

মাইকেল ক্লার্ক : আমি অনুশোচনায় ভুগি না। আইপিএল খেললাম না বলে দুঃখ নেই। আইপিএল খেলাটাকেই শুধু বদলে দেয়নি, বদলে দিয়েছে ভাল’র জন্য। এখন যে গতিতে তরুণ ক্রিকেটারেরা উঠে আসছে, সেটা সম্ভব হচ্ছে ¯্রফে আইপিএলের জন্য। আমি যখন খেলছিলাম, তখনও প্রধান ফরম্যাট ছিল টেস্ট ক্রিকেট। তার সঙ্গে ছিল ওয়ানডে। বিশ্বকাপের জন্য সেটাও খুব বড় ফরম্যাট। টি-টোয়েন্টি তখন সবে শুরু । তাই খুব বেশি খেলার সুযোগ হয়নি আমার। এখন ভাবলে মনে হয়, ইয়েস, এখন ক্রিকেট খেললে আইপিএল খেলতে আমি খুবই আগ্রহী হতাম। পারলাম না বলে অনুশোচনা নেই। কিছুটা হতাশা আছে। অনুশোচনা হয় না কারণ আমার সময়কার সেরা দু’টো ফর্ম্যাটে আমি সেরাটা দিতে পেরেছি।

প্রশ্ন : কিন্তু ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা যে বলে থাকেন, টি-২০ মানেই ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেট। টি-২০ ক্রিকেটের জন্য টেস্টর ক্রিকেট ধ্বংস হয়ে যাবে!!!

মাইকেল ক্লার্ক: এই বিশ্লেষনটা কখনও আমার মাথাতে ঢুকল না। আমি তো দেখছি, যারা টি-২০র সেরা ক্রিকেটার তারাই ওয়ানডের সেরা, তারাই আবার টেস্ট ক্রিকেটকে শাসন করছে। আমি তিনটে নাম বলছি। এবি ডিভিলিয়ার্স, বিরাট কোহালি, স্টিভ স্মিথ। এরাই তো ব্যাটিংয়ে টপ থ্রি। যেমন পাঁচ দিনের টেস্টে, তেমনই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। এবি সেদিন যখন দুর্ধর্ষ ইনিংসটা খেলছিল, আমি কমেন্ট্রি করছিলাম। আমি বলেছিলাম, টি-টোয়েন্টিকে অনেকে ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেট বলে। কিন্তু এখানে এবি-র ব্যাটিংয়ে যে টেকনিক দেখতে পাচ্ছি, সেটা দেখার জন্য সহ¯্র মাইল হেঁটে আসতেও আমি রাজি।

প্রশ্ন : তরুন ক্রিকেটারদের উদ্দেশে আপনার উপদেশ কী হবে?

মাইকেল ক্লার্ক: টেকনিকের দিকে মন দাও। ওটাই হল আসল ভিত। ব্যাটিং জিনিসটা হল বাড়ি বানানোর মতো। প্রথম লক্ষ্য শক্ত ভিত তৈরি করা। তোমার ভিত যদি শক্ত হয়, পঁচিশ তলা বাড়িও বানাতে পারবে, পাঁচ তলাও পারবে। কারও টেকনিক ভাল হওয়া মানে সে সব ধরনের ক্রিকেটে সফল হবে।

প্রশ্ন : টেকনিক থাকার পরও তিন ধরনের ক্রিকেটে কী করে উন্নতি করবে?

মাইকেল ক্লার্ক : একটা একটা করে ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে নিজেকে। টেকনিকটা ভিত করে নানা রকম স্কিল আয়ত্ব করতে হবে। তিন ধরনের ক্রিকেটে তিন রকম মানসিকতা থাকতে হবে। টি-টোয়েন্টি খুব আক্রমণাত্মক একটা ফরম্যাট। সেটার জন্য খুব আগ্রাসী মনোভাব রাখতে হবে। ওয়ানডেতে একটু ধরে খেলার সুযোগ থাকে। টেস্টের জন্য মাথায় রাখতে হবে যে, দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করাটাই আসল। আমার কাছে পারফেক্ট ক্রিকেটার হল সে-ই যে সব ধরনের ফর্ম্যাটে সফল হওয়ার ক্ষমতা রাখে।

প্রশ্ন : ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে স্লেজিং নিয়ে এত তীব্রতা, এত তিক্ততা হল, এটা কি সমর্থনযোগ্য?

মাইকেল ক্লার্ক: আমার মনে হয়, মিডিয়া ব্যাপারটাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। শেষ পর্যন্ত তো দেখলাম, লড়াইটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দু’দেশের মিডিয়ার মধ্যে। আমি তো সে দিন কমেন্ট্রি করতে গিয়েও বললাম, যাদের স্লেজিং নিয়ে এত কথা ওঠে, তারা সবাই এখন আইপিএলে বিভিন্ন দলের অধিনায়ক। স্টিভ স্মিথ, বিরাট কোহালি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, রোহিত শর্মা। এরা যখন দেশের হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়বে, এক ইঞ্চি ছেড়ে দেবে না। তখন পরস্পরের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যাবে। আর সেটাই তো হওয়া উচিত। আমার কাছে খেলার মন্ত্রটাই তো সেটাই- মাঠে নামব জেতার জন্য। অন্য কোনও কিছুর সঙ্গে আপস করা যাবে না। তা বলে কি সেই তিক্তটাই মনে রাখব নাকি? বিরাট যতই বলুক, ও নিজেও মনে রাখার ছেলে নয়। ওরা ঠিকই মাঠের বাইরে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের সাথে বন্ধুত্ব করে ফেলবে।

প্রশ্ন : আপনি কি নিশ্চিত, আবার খেলতে নামলে কোহলি-স্মিথরা স্বাভাবিক থাকতে পারবে?

মাইকেল ক্লার্ক : সবাই মনে রাখবে স্কোরলাইনটাই। ভারত ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল। আমাদের দেশে বলাবলি হবে যে, অস্ট্রেলিয়ার তরুণ একটা টিম দারুণ লড়েছিল। হেরে গেলেও মাথা উঁচু করে ফিরেছিল। এরপর ভারত হয়তো পরের গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়ায় আসবে। তখন আবার ফাটাফাটি ক্রিকেট হবে। তখন আবার কেউ কাউকে ছাড়বে না। আমি আশা করব, ক্রিকেট ভক্তরা দু’টো দারুণ টিমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপভোগ করবে। খুব হাড্ডাহাড্ডি সিরিজ হবে আবার, তবে সিরিজটা শেষ হয়ে গেলে কোহলি-স্মিথ আবারও বন্ধু হয়ে যাবে।

প্রশ্ন : এবারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে কেমন দেখছেন?

মাইকেল ক্লার্ক : খুবই ভালো। আমি কেকেআরের ম্যাচেই বেশি কমেন্ট্রি করছি বলে ওদের টিমটা খুঁটিয়ে দেখছি। ক্রিস লিনের জন্য আমার খারাপ লাগছে। ওর সঙ্গে গৌতম গম্ভীরের ওপেনিং জুটি তৈরি করাটা এ বারে কেকেআরের মাস্টারস্ট্রোক ছিল। আমার মনে হয়েছিল, এই আইপিএলে সেরা ওপেনিং কম্বিনেশন ওটাই ছিল। গম্ভীর আর লিন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ছেলেটার, চোট লেগে বাদ পড়লো। আমার মনে হয় নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দারাবাদ এ বারের আইপিএল জেতার ব্যাপারে দু’টো ফেভারিট টিম।

প্রশ্ন : কেকেআরে কোন খেলোয়াড়কে আপনার ভালো লাগে?

মাইকেল ক্লার্ক : অধিনায়ক গম্ভীরকে। দারুণ একটা ছেলে। খুব ভাল ব্যাটসম্যান আর দুর্দান্ত ক্যাপ্টেন। কেকেআরের স্পিন বিভাগটাও আমার খুব ভাল লাগে। খুব শক্তিশালী স্পিন বিভাগ ওদের।