সেন্ট্রাল আলবার্টা, 21 জুলাই, ২০২৪ — রেডডিয়ারের বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের সদস্যরা বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ও আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য জরুরিভাবে আবেদন জানাতে সিটির ব্যস্ততম সড়কের পার্শ্বে একটি মানববন্ধন মঞ্চস্থ করছে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সাম্প্রতিক সহিংস দমন-পীড়ন ও হত্যার জন্য সম্প্রদায়টি গভীর দুঃখ ও শঙ্কা প্রকাশ করছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলির প্রতি ইঙ্গিত করে বাংলাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বর্তমান সরকারের সহযোগী সংস্থাগুলির কর্মের কারণে ১০০ জনের ও বেশি শিক্ষার্থী দুঃখজনকভাবে প্রাণ হারিয়েছে। রেডডিয়ারের এ সম্প্রদায়টি দেশে তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের নিরাপত্তা এবং মঙ্গল নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে যেহেতু বাংলাদেশ সরকার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে, যা বিপদগ্রস্তদের আরও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ।
গ্রুপের মুখপাত্র মুশফিকুল আরিফিন বলেছেন, "কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি হিসেবে আমরা ন্যায়বিচার, সমতা এবং গণতান্ত্রিক অভিব্যক্তির মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখি।" "আমরা বাংলাদেশের ছাত্র ও নাগরিকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি যারা শান্তিপূর্ণভাবে ন্যায্য আচরণ এবং কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবি করছি ।" সম্প্রদায়টি কানাডিয়ান সরকারকে অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে: এবং ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় কানাডার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করতে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতকে তলব ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের অধিকারকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করতে একটি পিটিশন তৈরি করেছে।
পিটিশনটি আশির দশকে বাংলাদেশের তৃণমূলে মানবাধিকার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব হিউমান রাইটস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জর্নালিস্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার জাহিদের নিকট হস্তান্তর করেন কৃষিবিদ ড. আশরাফ আলম, মুশফিকুল আরিফিন ও কৃষিবিদ মোয়াজ্জেম হোসাইন . পিটিশনে কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষকে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং যোগাযোগ ও তথ্যে প্রবেশের সুবিধার্থে ইন্টারনেট সংযোগ পুনরুদ্ধার করার জন্য সাহায্য করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি কানাডার দীর্ঘদিনের অঙ্গীকার রয়েছে। রেডডিয়ারের -এর বাংলাদেশী সম্প্রদায় এই সংকটময় সময়ে বাংলাদেশের জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে কানাডিয়ান কর্মকর্তাদের তাদের প্রভাবকে কাজে লাগাতে এবং এই মূল্যবোধগুলোকে সমুন্নত রাখার জন্য অনুরোধ করছে। পিটিশনে ও আলোচনায় স্বাক্ষরপূর্বক অংশগ্রহণ করেন সরকার আরেফিন। সানজিদা করিম, কাকলি আক্তার, হীরা মিয়া, জান্নাত, এম. ইসলাম, করিম, মোয়াজ্জেম হোসাইন, মোহাম্মদ আলম, আবরার আলম, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ তারেক, রবিন তানা মো. নোমান শরীফ, মাহফুজ আহমেদ নিলয় প্রমুখ মানব বন্ধন অংশগ্রহণ কারীগণ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড বহন করেন।
দেলোয়ার জাহিদ তার সংক্ষিপ্ত ভাষণে মানববন্ধনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়টি বাতিল করেছে। এখন দেশের সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কার করা হবে, ৯৩% নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে রায় দিয়েছে এ শীর্ষ আদালত তবে এরই মাঝে ঝরে একশতের অধিক তাজা প্রাণ যা মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা ও সহানুভূতি। দেশে ব্যাপক ও সহিংসতা ও ধংসযজ্ঞ চলেছে আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযোদ্ধের চেতনা হয়েছে ভুলন্ঠিত। খুঁজে বের করতে হবে দায়ীদের, বিচারের সম্মুখীন করতে হবে করা এ অবস্থার জন্য দায়ী, বন্ধ করতে হবে সকল প্রকার হয়রানি মুক্তবুদ্ধি ও অবাধ তথ্য প্রবাহের সকল বাধা দূ র করতে হবে.