অক্টোবর ২২, ২০১৫ (স্টাফ রির্পোট কানাডা) কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে ১২ বছর পর ক্ষমতাধর কঞ্জারভেটিব পার্টির সূচনীয় পরাজয়কে অনেকটা স্বাভাবিক ভাবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা , তাদের মতে ”কঞ্জারভেটিব পার্টির উচ্চমাত্রার করনীতি, পররাষ্ট্রনীতি,চাকুরী বাজারে ধস, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে ফেলা এবং ইমিগ্রেশান আইন কঠোরনীতি কারনেই এ পরাজয়”।
কিন্তু কঞ্জারভেটিব পার্টির দলনেতা স্টিফেন হারপার প্রধানমন্ত্রীর বিদায়ী ভাষণে নিজ দলের বিভিন্ন ভাল কাজের দিকগুলো তুলে ধরেন এবং কঞ্জারভেটিব পার্টির দলনেতার পদমর্যাদা সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। ১৯শে অক্টোবর কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে যথাক্রমে লিবারেল পার্টি ১৮৪ টি আসন, কঞ্জারভেটিব পার্টি ৯৯ টি আসন, নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি অব কানাডা ৪৪ টি আসন, ব্লক কিউবেক পার্টি ১০ টি আসন, গ্রীন পার্টি ১ টি এবং ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টি এবারের নির্বাচনে একটি আসনেও জয়লাভ করতে সক্ষম হয়নি।
লিবারেল পার্টির দলনেতা জাস্টিন ট্রুডর নির্বাচনে জয়ের পর তিনি একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে যে ভাষণ দেন – তিনি কানাডার জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানান এবং বিশেষভাবে যে কথাটি কানাডা এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেটি হলো “আমার প্রিয় বন্ধুগণ- আমি নির্বাচনী প্রচারনা করতে একটি শহরে গিয়েছিলাম, সেখানে একজন হিজাব পরিহিতা মুসলিম মা আমার সাথে কথা বলার জন্যে পিছন থেকে হাত তুললেন তখন আমি তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম আপনি কী আমাকে কীছূ বলতে চান ? তখন সেই ভদ্রমহিলা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন “আপনি যদি নির্বাচনে জয়ী হন, তা হলে কি আমি আমার ছেলেমেয়েকে আমার সংস্কৃতিতে, ধর্ম ও বর্ণে লালন পালন করতে পারব ” আমি ঐ মাকে কথা দিয়েছিলাম এবং এখনও বলছি যে আমি এবং আমার দল সরকার গঠন করার পর প্রত্যেক জনগণ সমানভাবে তাদের সংস্কৃতি, ধর্ম ও বর্ণ রক্ষার অধিকার পাবে ” ।
তাছাড়া নির্বাচনে জয়ের পরেরদিন সাব-ওয়ের খোলামাঠে মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করা এবং বিভিন্ন কমিউনিটিতে গিয়ে সাক্ষাত করা এ যেন তার নির্বাচনী অঙ্গীকার রক্ষার আগাম বার্তা কানাডার জনগনের মাঝে পৌছে দেয়ার কৌশল মাত্র। লিবারেল পার্টির দলনেতা জাস্টিন ট্রুড এবং তার দল কিছুদিনের মধ্যে শপথ গ্রহন করে সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন।