রিপোর্টার সাইফুর হাসানঃ ৫ই জানুয়ারি বি,এন,পির গণতন্ত্র হত্যা দিবস এবং সরকার দলীয় পার্টি আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র রক্ষার নামে গত জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির এক পর্যায়ে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বি,এন,পির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকর আকস্মিক মৃত্যু এবং দেশের নাজুক পরিস্থিতিতে তিনি কার্যালয়ে থাকার ব্যাপারে অনড় ছিলেন।বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস এবং আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসেও দলীয় কর্মসূচি শিথিল করেননি কিংবা কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সৃতিসৌধে যাননি। দেশের এই জ্বালাও পোড়াও পরিস্থিতিতে যদিও সরকার বি,এন,পি কে সরাসরি দায়ী করলেও এর কোন সঠিক তথ্য প্রমান দেখাতে পারেনি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দেয়া দুইটি মামলার হাজিরা দিতে বেগম খালেদা জিয়া ৯২ দিন পর তিনি কার্যালয় থেকে বের হন এবং দুটি মামলায় জামিন পেয়ে তিনি বাসায় ফিরে যান।এখানে ১৮ই মার্চ সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বি,এন,পি থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও সরকারের কাছ থেকে লেভেল প্লেন ফিল্ড নির্বাচনের নামে একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ার কথা বলা হলেও বি,এন,পি এখনও তা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সরকারের দেয়া অনেক মামলায় বি,এন,পির অধিকাংশ সিনিয়র নেতাকর্মী জেলে এবং দেশের বিভিন্নস্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলার ভয়ে বি,এন,পির অনেক নেতাকর্মী মাঠে নামতে সাহস পাচ্ছেন না। যদিও বি,এন,পির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে মামলা,গুম ও সরকারের পুলিশি হামলার ভয় উপেক্ষা করে দলমত নির্বিশেষে কাজ করার আহ্বান দেয়া থাকলেও সিটি নির্বাচনে এই দলটি কতটা সাফল্য বয়ে আনতে পারে এটাই মুখ্য বিষয়। এদিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বি,এন,পির সুষ্ঠধারর রাজনীতিতে ফিরে আসা ও সরকারকে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন দেওয়ার জন্যে বান,কি,মুনের পক্ষ থেকে দুটি পৃথক লিখিত বার্তা পাঠানো হয়েছে।